২০২৫ সালে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য মালদ্বীপ ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া
মালদ্বীপে ভিসার ধরনসমূহ
বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য মালদ্বীপে প্রধানত দুটি ভিসা উপলব্ধ:
- ট্যুরিস্ট ভিসা: স্বল্পমেয়াদী ভ্রমণের জন্য।
- কাজের ভিসা: দীর্ঘমেয়াদী কর্মসংস্থানের জন্য।
ট্যুরিস্ট ভিসা
বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা মালদ্বীপে পৌঁছানোর পর অন-অ্যারাইভাল ভিসা পান, যা ৩০ দিনের জন্য বৈধ। এই ভিসা প্রাপ্তির জন্য কোনো পূর্ববর্তী আবেদন প্রয়োজন হয় না।
প্রয়োজনীয় শর্তাবলী:
- পাসপোর্টের বৈধতা: কমপক্ষে ৬ মাসের মেয়াদ থাকতে হবে।
- রিটার্ন টিকিট: ফেরার টিকিটের প্রমাণ।
- হোটেল বুকিং: নিবাসের প্রমাণ।
- আর্থিক সক্ষমতা: প্রতিদিনের জন্য কমপক্ষে ১০০ মার্কিন ডলার বা সমপরিমাণ অর্থের প্রমাণ।
উল্লেখ্য, মালদ্বীপে ভ্রমণের উপযুক্ত সময় নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত। এই সময়ে আবহাওয়া সুন্দর থাকে এবং পর্যটকদের জন্য আদর্শ।
কাজের ভিসা
মালদ্বীপে কর্মসংস্থানের জন্য বাংলাদেশি নাগরিকদের কাজের ভিসা প্রয়োজন। তবে, বর্তমানে মালদ্বীপ সরকার কাজের ভিসা প্রদান সাময়িকভাবে স্থগিত রেখেছে। সর্বশেষ তথ্যের জন্য মালদ্বীপে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করা পরামর্শ দেওয়া হয়।
প্রয়োজনীয় শর্তাবলী:
- নিয়োগপত্র: মালদ্বীপের নিয়োগকর্তার কাছ থেকে বৈধ নিয়োগপত্র।
- স্বাস্থ্য পরীক্ষা: নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ।
- অন্যান্য ডকুমেন্টস: পাসপোর্টের কপি, ছবি, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ইত্যাদি।
ভিসা ফি এবং অন্যান্য খরচ
- ট্যুরিস্ট ভিসা: অন-অ্যারাইভাল ভিসা বিনামূল্যে প্রদান করা হয়।
- কাজের ভিসা: নিয়োগকর্তা এবং ভিসার ধরন অনুযায়ী ফি ভিন্ন হতে পারে।
ভ্রমণ খরচ:
- বিমান ভাড়া: বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপের বিমান ভাড়া প্রায় ৩০,০০০ থেকে ৪০,০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে।
- নিবাস খরচ: হোটেল বা রিসোর্টের মান অনুযায়ী খরচ ভিন্ন হয়।
প্রয়োজনীয় তথ্যসূত্র
সর্বশেষ তথ্য এবং সহায়তার জন্য নিচের সংস্থার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন:
- বাংলাদেশ দূতাবাস, মালে, মালদ্বীপ: https://male.mofa.gov.bd/bn
- বাংলাদেশ হাইকমিশন, মালদ্বীপ (ফেসবুক পেজ): https://www.facebook.com/BangladeshMissionInMaldives/
উপসংহার
মালদ্বীপে ভ্রমণ বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য সহজ এবং আকর্ষণীয়। ট্যুরিস্ট ভিসা অন-অ্যারাইভাল ভিত্তিতে প্রদান করা হয়, যা ভ্রমণকে আরও সহজ করে তোলে। তবে, কাজের ভিসার জন্য বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত থাকা এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। সর্বদা সর্বশেষ তথ্যের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করুন এবং ভ্রমণের আগে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করুন।